
মোঃ আল আমিন ইষ্টাফ রিপোর্টারঃ
নগরীর খুলশীর সেগুনবাগান এলাকার সুবর্ণা সুইটসকে অননুমোদিত ক্ষতিকর রং ব্যবহার করে মিষ্টি তৈরি করায় ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিদপ্তর। আজ বৃহস্পতিবার (২০ আগস্ট) সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ৩ টা পর্যন্ত চলমান অভিযানে মেয়াদোত্তীর্ণ ও অননুমোদিত ওষুধ, মেয়াদোত্তীর্ণ কোমল পানীয় ও অননুমোদিত রং ধ্বংস করা হয়। অভিযানে খুলশী ও বাকলিয়া এলাকায় ৬ প্রতিষ্ঠানকে ৫৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয় এর উপপরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ, সহকারী পরিচালক (মেট্টো ) পাপীয়া সুলতানা লীজা এবং চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান অভিযান পরিচালনা করেন।
সুবর্ণা সুইটসের এডমিন মো. রানা জানতে চাইলে বলেন, আমরা কয়েকজন তরুণ মিলে সূবর্ণা ডেইরি ফার্ম করেছি, তারপর আমাদের ফার্মের দুধ দিয়ে মিষ্টি ও দধই তৈরি করছি । শুধু মাত্র দধই তৈরি করতে বিএসটিআই এর অনুমোদন লাগে , মিষ্টি জাতীয় পন্য তৈরিতে অনুমোদন লাগে না। তবে মিষ্টিতে কেন ক্ষতিকর রং ব্যবহার করা হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি কোন সঠিক উত্তর দিতে পারেনি।অভিযানে খুলশী থানার চট্টগ্রাম মহিলা কলেজ মোড়ের চৌধুরী ফার্মেসিকে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ সংরক্ষণ করায় তিন হাজার টাকা জরিমানা করে বর্ণিত ওষুধ ধ্বংস করা হয়। একই থানার ওয়্যারলেস মোড়ের নিউ নাহার ফার্মেসীকে মেয়াদোত্তীর্ণ ও অননুমোদিত বিদেশি ওষুধ রাখায় আট হাজার টাকা জরিমানা করে বর্ণিত ওষুধ ধ্বংস করা হয়। হাজী রুহুল আমিন স্টোরকে উৎপাদন-মেয়াদ উল্লেখ বিহীন মোড়কজাত পণ্য সংরক্ষণ করায় তিন হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এছাড়া বাকলিয়া থানার কালামিয়া বাজারের হাসান বেকারিকে তার উৎপাদিত পণ্যে মেয়াদ প্রদান না করায় ও উৎপাদন-মেয়াদ বিহীন মোড়কজাত দুধ বিক্রয় করায় পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। মেসার্স বাবে জমজমকে (পরিবেশক, মধুবন) মেয়াদ উত্তীর্ণ কোমলপানীয় রাখায় দশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।জনস্বার্থে এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানান চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান।